শোক আর শ্রদ্ধায় চির বিদায় জানানো হলো নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালকে।
শনিবার (১১ মে) আছর বাদ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামে জানাজা শেষে তাকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন শিকদার মোস্তফা কামাল (৫১)
শিকদার মোস্তফা কামাল মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত আকরাম শিকদারের ছেলে। তিনি লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর একটি শালিস বৈঠকে যোগদানের জন্য লোহাগড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন। এরপর তিনি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সমির সিকদারের বাড়ির সামনে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখে বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি মোটরসাইকেল নিতে আসলে সিকদার মোস্তফা কামালকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত জনগণ আহত সিকদার মোস্তফা কামালকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। লোহাগড়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতেই তার লাশ লোহাগড়া থানায়
আনা হয়।
শনিবার (১১মে) সকাল ১১ টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামালের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা গ্রামের নিজ বাড়িতে আনা হলে তাকে একনজর দেখার জন্য আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এলাকাবাসী ভীড় করে। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বাদ আছর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে বলেন, ওই এলাকায় পুলিশের একাধিক টিম আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযুক্তদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।