ডুমুরিয়ায় বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু করেছে কৃষকরা। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে বোরো চাষের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।
পৌষ-মাঘ এ দুই মাস বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করতে হয়। বর্তমানে অনেক কৃষক বীজতলা ও জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে তেলের দাম বাড়ায় বোরো চাষে অনেক কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন।
জানা যায়, প্রায় মাস খানেক আগে আমন ধান ঘরে তুলে বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছে। চারা রোপণের পাশাপাশি বীজতলা ও জমি তৈরি করছেন তারা। তেলের দাম বাড়ায় বেশির ভাগ কৃষক বিপাকে পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পানির সেচ ও হাল চাষে খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় বোরো চাষে ৪ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে উপজেলার প্রায় ২ হাজার ৩শ’ কৃষকদেরকে হাইব্রিড, উফশি ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে আগাম জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। অনেক কৃষক বোরো চাষের বীজতলায় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই জমিতে হাল চাষ করছেন। আগাম যারা বীজতলা তৈরি করছিলেন তারা জমিতে চারা রোপণের কাজ করছেন। তবে খরচ বাড়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন বেশির ভাগ কৃষক।
উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের টিপনা কৃষক আব্দুল গনি গাজী বলেন, তিন একর জমিতে বোরো ধান চাষ করছি। গত দু’দিন ধরে জমিতে চারা রোপণ করছি। সবকিছুর দাম বাড়ায় ধান চাষে খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
উপজেলার শোভনা এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, দুই একর জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। চারা গাছ লাল হয়ে যাচ্ছে এ জন্য কীটনাশক স্প্রে করছি। তেলের দাম বাড়ায় সেচ ও হাল চাষে অনেক খরচ বেড়েছে। কিন্তু ধানের দাম বাড়েনি। চারার বয়স ৩০-৪৫ দিনের ভেতরে রোপণ করবো। হাইব্রিড ও দেশি ধানের চারা তৈরি করছি।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বোরো ধান চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও উৎসাহ দিচ্ছি। এ উপজেলায় আগের তুলনায় বোরো চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার অনেক কৃষক আগাম জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করতে শুরু করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কিছুটা বাড়লেও তেমন কোন সমস্যা হবে না।
খুলনা গেজেট/এনএম