খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে
ওয়ানডে সিরিজ সমতা

শেষ দিকের রোমাঞ্চে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ টাই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারত নারী দলের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে মারুফা আক্তারের ওপরই ভরসা রাখেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। এই পেসারের করা ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি সিঙ্গেলস নেন দুই ভারতীয় ব্যাটার। তবে তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মেঘনা সিং। তাতে ম্যাচ ড্র হয়।

ফলে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ড্র করে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে ফারজানা হক পিংকি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন। আর বোলার নাহিদা আক্তারের কল্যাণে সিরিজও ড্র করে বাংলাদেশ।

শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা থাকায় শেষ ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নেয়।

ম্যাচটিতে পিংকির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে ভারত। তাতে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজেও ড্র করে দু’দল।

২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ১১ রানে ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরান মারুফা আক্তার। এরপরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে আউট করে ভারতকে চাপে ফেলেন সুলতানা খাতুন।

তবে ভারতের আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানাকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন হারলিন। ৫৯ রান করে স্মৃতি আউট হলেও একপাশ আগলে রাখেন হারলিন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত। ভারতীয় অধিনায়ককে মাত্র ১৪ রানে আউট করেন নাহিদা আক্তার।

ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে হারলিন আউট হলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান জেমিমাহ রদ্রিগেজ দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে শেষদিকে দাঁড়াতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত জেমিমাহ ৩৩ রানে অপারিজত থাকলেও অলআউট হয় ভারত।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ফারজানা হকের ১০৭ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ২২৫ রান তোলে বাংলাদেশ নারী দল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যা মেয়েদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ফারজানা ওই ইনিংস খেলার পথে ১৬০ বলের মুখোমুখি হন। তার ব্যাট থেকে সাতটি চারের শট আসে। ছিল না কোন ছক্কা। বাকি রান তিনি ডাবল-সিঙ্গেলে নিয়েছেন। অর্থাৎ তার সেঞ্চুরি যতটা না চার-ছক্কার গল্প তার চেয়ে বেশি দৃঢ়তা-লড়াই আর পরিশ্রমের।

ফারজানার সঙ্গে ওপেনার শামীমা সুলতানা ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। এই ওপেনার খেলেন ৭৮ বলে পাঁচ চারের শটে ৫৩ রান। এছাড়া তিনে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচে নামা সোবহানা মুস্তারি ২২ বলে ২৩ রান করেন।

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!