এই স্বাধীন ভূখণ্ডের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর জীবন-সঙ্গিনী এবং অনুপ্রেরণা বেগম মুজিব, তাঁর তিন সন্তান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল, দশ বছরের শিশু শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর পুত্রবধূ, যাঁর হাতের মেহেদির রঙ তখনো শুকায়নি এবং বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেদিন যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো, তারা জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক। পাকিস্তানের এজেন্ট, আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অংশ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে জিয়াউর রহমান গং এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী অফিসার বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা করে। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিলো বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে এ কথা খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনর রশীদ দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকি উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য এ কথাবলেন।
১৫ই আগষ্ট রবিবার বিকেলে দাকোপ উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডলের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসন ৩৩০ এর এম পি এ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা -১ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিএম এ ছালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আসিত বরন সাহা,আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ কামরুজ্জামান, গোলাম মোস্তফা খান, সনত কুমার বিশ্বাস, আধ্যাপক দুলাল রায়, গৌরপদবাছাড়, শেখ আবদুল কাদের, রনজিত রায়, মানষ মুকুল রায়, মিহির মন্ডল, কৃষক লীগ সভাপতি গোলাম হোসেন, মহিলা আ’লীগের লিপিকা বৈরাগী, শ্রমিক লীগের অমরেশ ঢালী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জি এম রেজা, যুবনেতা রতন মন্ড, জাহিদুর রহমান মিল্টন, ছাত্রলীগের ফয়সাল শরিফ , লিটন সরদার প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই
