খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, কোন প্রকার গুজব ও অপপ্রচারে কান দিবেননা। ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এছাড়া দলে অনুপ্রবেশ করে শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা ধরণের অসামাজিক ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড সংগঠিত করে দলকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনে সোপর্দ করতে হবে।
তিনি দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী, আত্মনির্ভরশীল, আত্মপ্রত্যয় হতে হবে। একই সাথে দলের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। যারা দলের শৃঙ্খলা বর্হিভূত কাজ করেব তাদের দলে কোন স্থান দেয়া হবেনা। আওয়ামী লীগে কোন বিশৃংখলা কারীদের স্থান নেই। একটি সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড় করাতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সদর থানা আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। এসময়ে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন মিন্টু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, হাফেজ মো. শামীম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মো. বাদল সরদার. মো. আমিরুল ইসলাম বাবু, নিখিল কুমার বিশ্বাস, মো. আজম খান, খালেকুজ্জামান খান, আলিমুর রেজা লাবু, আউয়াল হোসেন ছোটন, মোল্যা সেলিম রেজা, মো. গহর তারিক, শাহ্ মো. জাকিউর রহমান, মো. আব্দুর রহিম শেখ, মো. মনিরুজ্জামান, রেখা আহসান, শিউলি বিশ্বাস, রিগান চৌধুরী, সেন্টু, শহিদুল ইসলাম খান, মো. খায়রুজ্জামান বাবু, কাজী আব্দুল আরিফ, পল্লব, এস এম সেলিমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভায় ২০ অক্টোবরের মধ্যে ২৮নং ওর্য়াডে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়। ৩৯২ জনকে প্রাথমিক সদস্য টিকিট দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ১২ অক্টোবর ইলাক্স কমিউনিটি সেন্টারে সভা এবং ১৩ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে টিকিট বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম