২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য দেয় লঙ্কানরা। কিন্তু এই লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও ওপেনিং জুটিতে ধাক্কা খায় টাইগাররা। শূন্য রানেই বিদায় নেন ওপেনার সৌম্য সরকার। এতে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম উঠে গেছে সৌম্য সরকারের। টি-টোয়েন্টিতে তার চেয়ে বেশি খালি হাতে ফেরার নজির নেই আর কোনো ব্যাটসম্যানের।
সব মিলিয়ে ৮৩ ইনিংসের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৩ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। আরও একটা ডাক মারলে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থানে যাবেন সৌম্য সরকার। আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংও ১৩ বার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সৌম্যর ম্যাচসংখ্যা যেখানে ৮৪টি সেখানে স্টার্লিংয়ের এই রেকর্ড গড়তে লেগেছে ১৪৪ ম্যাচ।
শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকার দুইয়ে আছেন রুয়ান্ডার কেভিন ইরাকোজে, আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও ব্রায়েন ও ভারতের রোহিত শর্মা। তিনজনই ‘ডাক’ মেরেছেন ১২ বার করে। তাই তাদেরও লজ্জার বিশ্বরেকর্ডের শঙ্কা বা সম্ভাবনা আছে। তিনজনই ‘ডাক’ মেরেছেন ১২ বার করে। বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌম্যর পরে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তারা দুজন শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৮ বার করে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডাক সৌম্য সরকারের। ৪টি ডাক আছে তার। মাত্র ১৬ ইনিংসে এমন কীর্তি তার। তবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে শূন্যের রেকর্ডের বিব্রতকর অবস্থা থেকে অবশ্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশী ওপেনার। তার চেয়ে বেশি খালি হাতে ফিরেছেন তিলকারাত্নে দিলশান ও শাহিদ আফ্রিদি। বিশ্বকাপের দুজনই রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়েছেন ৫ বার করে।
খুলনা গেজেট/এমএম