খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

শুকনো মৌসুমে ঘরবাড়ি একমাস যাবত পানিতে প্লাবিত

কেশবপুর প্রতিনিধি

বর্তমান সময়ে চারদিকে যখন খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে তখন যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার পূর্বে কাটাখালি, ভবানীপুর, কালীচরণপুর ,বাগডাঙ্গা পানিতে নিমজ্জিত।

সর জমিনে যেয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বাড়িতে একমাস যাবত পানিতে তলিয়ে আছে।

কাটাখালী বাজারের পাশে মিন্টু সরকার পিতা বিনয় সরকারের বাড়ির উঠান তলিয়ে আছে। প্রচন্ড শীতের মধ্যেও ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন স্থানীয় পানিতে নিমজ্জিত মানুষজন। গ্ৰামের মা-বোনদের কষ্ট আরো বেশি,পানির কারণে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারছে না কারণ তাদের টয়লেট পানিতে ডুবে গেছে। অনেক দুঃখ নিয়ে এক ঠাকুর মা একথা বলছিল।

২৭ টি বিলের ঘেরের পানি ডায়ার খাল হয়ে সুইজগেটের মাধ্যমে নদীতে যেয়ে পড়ে। কিন্তু সুইচগেটের সামনে পলি পড়ে উচু হওয়ায় এখন আর পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না যার পরিপ্রেক্ষিতে বিল খুকশিয়া, সানতলা, ময়নাপুর, নিচু এলাকা হওয়ার কারণে সমস্ত জায়গার পায়নি এখানে এসে জমা হয়ে বসতঘরে পানি উঠছে। কোন কোন ঘেরের উপরে দুই হাত করে পানি বইছে।

স্থানীয় ঘের মালিক অসিত বরণ বিশ্বাসের সাথে কথা বলে জানা যায়, উনার ঘেরে পানি উঠু উঠু ভাব। যেকোনো সময় উনার ঘের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

মো. বজলুর রহমান মাস্টার উনার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ঘেরের উপরে দুই হাত পানি। শীতের সবজি ঘেরের ভেড়ির উপর লাগানো সব নষ্ট হয়ে গেছে।

কাটাখালী বাজারের চাঁদসি ডাক্তার মিনাল কান্তি, ডাক্তার বিমল কৃষ্ণ সরকার, বিকাশ এর দোকানদার মো. রবিউল ইসলাম সদ্দারের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান সময়ে খাল কেটে পানি নিষ্কাশন করা অনেক সময়ের প্রয়োজন। অনতি বিলম্বে সেলো পাম্প মেশিন দ্বারা পানি নিষ্কাশন না করলে বিরম্বনা আরো বাড়বে।

সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনজুর রহমান পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস বারবার দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।

কেশবপুরের বর্তমান নব নির্বাচিত এমপি আজিজুল ইসলাম বিষয়টি গুরুত্তের সাথে দেখভাল করবার জন্য স্থানীয় জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!