যশোরে সাত বছর বয়সি শিশু রাব্বী হত্যার দায়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিলকিস বেগমকে আটক করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। বিলকিস যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের আয়াতুল্লাহ খোমিনির দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশু রাব্বির সৎ মা। গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের বিলকিসের পিতার বাড়ি থেকে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের আয়াতুল্লাহ খোমিনির দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস বেগম তার সৎ ছেলে রাব্বীকে (৭) ভাত খাবার জন্য বাড়িতে ডাকে। এসময় বিলকিস ভাতের সাথে ফুরাডান নামে একটি কীটনাশক মিশিয়ে দেয়। এ ভাত খেয়ে শিশুটি ছটফট করতে থাকে। আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইদিন রাত দু’টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বী মারা যায়। পরে পুলিশ বিলকিসকে আটক করে।
এ ঘটনার পরদিন ১৪ অক্টোবর নিহতের চাচা মোমিনুর রহমান বাদী হয়ে বিলকিসকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন। ২০১০ সালের ৯ এপ্রিল ঝিকরগাছা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দীলিপ কুমার বিশ্বাস বিলকিসকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর ৪ জুলাই চার্জ গঠন করা হয়। বিলকিস ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিলকিস বেগম দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৬ সালের ১১ মে যশোরের তৎকালীন স্পেশাল জজ নিতাই চন্দ্র সাহা বিলকিসের ফাঁসির আদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদিন রাতে তাকে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই