দিঘলিয়া উপজেলার লাখোয়াটী দারুল উলুম মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্র তামিম মোল্যা (৭) মৃত্যুর রহস্য গত ৩ দিনেও পুলিশ উদঘাটন করতে সক্ষম হয়নি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তামিম এশার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরদিন বেলা আনুমানিক ৪ টার দিকে লাখোয়াটী গ্রামের গোয়ালাবাদ বিলের একটি ডোবার মধ্যে গ্রামবাসী তাঁর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ডোবা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় শিশু তামিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম এর জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে তাঁর নামাজে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। একই দিন নিহত তামিমের মা জাহানারা বেগম কলি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শিশু তামিমের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত শিশু তামিম লাখোয়াটী গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের দিনমজুর তরিকুল ইসলাম মোল্যার পুত্র। তরিকুল মোল্যার ৩ ছেলের মধ্যে নিহত তামিম ছিলো মেঝো সন্তান এবং খুবই শান্ত প্রকৃতির। এ দিকে ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ শিশু তামিম নিহত হওয়ার রহস্য এখনও উদঘাটন করতে সক্ষম হয়নি।
দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধুরী মুঠোফোনে রবিবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা পুলিশের সকল ইউনিট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিশু তামিমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পর্যায়ক্রমে আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মামলার আইও দিঘলিয়া থানার এস আই রানা প্রতাপ ঘোষ বলেন, ‘শিশু তামিম মৃত্যুর রহস্য সম্পর্কে দ্রুতই আমরা পজিটিভ কিছু আশা করছি।’
খুলনা গেজেট/এনএম