খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় তরুণ নিহত, চার ঘণ্টা পর পানির নিচে শিশুর সন্ধান

শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরূপ পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পরই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এরই মধ্যে শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরূপ পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব প্রতিমা। প্রতিমা তৈরিতে প্রায় সব প্রতিমালয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

আগামী ১ অক্টোবর পঞ্চমী তিথিতে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সাজ সাজ রব। দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠ শোনার অপেক্ষায় ভক্তকূল। সকালে শিউলি কুড়ানোর সময়টায় মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
দক্ষ কারিগররা দিন-রাত কাজ করেই চলেছেন। তাদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিটি প্রতিমা।দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্রাস্ত শিল্পিরা।প্রতিমা গড়ার কারিগররা খড় আর কাঁদামাটির মিশ্রণে দুর্গার পূর্ণ অবয়ব দিয়ে যাচ্ছেন একাগ্রচিত্তে। মন্দিরে মন্দিরে ব্যস্ত লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ এর প্রতিমা গড়তে। ব্যস্ততার এ চিত্র চোখে পড়ে শহর ও গ্রামের সব প্রতিমালয়ে।

উৎসবের পুর্নতা পায় যাদের হাতে তাদেরই একজন জীবন রায় বলেন, এখন আমাদের ব্যাস্ত সময় কাটছে।প্রতিটি মন্দিরে খড়ের কাজ শেস করে এখন মাটির কাজ করছি।আমারা এক একজন ভাস্কর ৬থেকে ১০টি স্থানে প্রতিমা তৈরীর কাজ করে থাকি। তবে চাহিদার তুলনায় মজুরি অনেক কম। কিন্তু তারপরও বাপ-দাদার আদি পেশা টিকিয়ে রাখতেইআমরা এ কাজ করে থাকি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব প্রতিমা গড়তে হবে।তাই দম ফেলার ফুরসত নেই ।পুজার ১০ দিন আগে থেকে রংয়ের কাজ শুরু করবো। পুজার ২/১ দিন আগে সব প্রতিমার কাজ শেষ করবে।এর পর ভক্তরা পুজা শুরু করবেন।

প্রতিমার কারিগর রাজীব সেন বলেন, সময়ের সাথে পরিবর্তন এসেছে প্রতিমার গঠনেরও।আগের থেকে প্রতিমার সাজসজ্জায়ও অনেক পরিবর্তন এসেছে।আর তাই প্রতিমা আমাদের অনেক সচেতন হয়ে প্রতিমা গড়ার কাজ করতে হয়।মন্দিরের ঐতিহ্য ও সাজসজ্জার বিষটি মাথায় রেখে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলতে হয়।প্রকার ভেদে এক একটি প্রতিমা তৈরী করতে ২০ তেকে ১লক্ষ টাকা পযৃন্ত খরচ হয।প্রতি মৌসুমে এক একজন কারিকর ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়।

গোপালগঞ্জ শহরের মডেলস্কুল রোডের নিউমডেল সংগের আয়োজক তুসার কান্তি বিশ্বাস বলেন, সাম্প্রদায়ীক সম্প্রতির এ জেলায় সকর ধর্ম -বর্নের মানুষের সহযোগীতায় এবছরও আড়ম্বরে এ দুর্গাউৎসব অনুষ্ঠিত হয়।এ বছরও ব্যাপক ধুমধামের সাথেদুর্গাউৎসব পালন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অসিত কুমার মল্লিক বলেন,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ জেলায় সব ধর্ম বর্নের সহযোগিতায় এবছরও ব্যাপক আড়ম্বরের সাথে দুর্গাউৎসব পালন করা হবে। জেলায় এ বছর ১ হাজার ২৭৭ টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। অত্যান্ত আনন্দ মুখর ভাবে সকল ধর্ম বর্নের মানুষ মিলে মিশে সুন্দর ভাবে দূর্গাপূজা পুজা উদযাপন করা হবে।

 

 

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!