খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণিতে ৩টি, যোগীপোলে ২টি ও জাব্দিপুরের ১টি রেলক্রসিংয়ে নেই কোন গেটম্যান। ট্রেন আসলেও ফেলানো হচ্ছে না গেটের বেরিয়্যাল। ফলে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে দূর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দূর্ঘটনা এড়াতে গেট এবং গেটম্যান জরুরী হয়ে পড়েছে এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা-যশোর মহাসড়কের শিরোমণি চাল বাজারের মধ্যে দিয়ে শিরোমণি যাওয়ার ব্যস্ততম সড়কের মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ের গেটে রয়েছে বেরিয়্যাল (গেট), নির্মিত হয়েছে গার্ড রুম। কিন্তু নেই গেটম্যান। ব্যস্ততম সড়কটির খোলা অরক্ষিত গেট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলক্রসিং পারাপার হচ্ছে।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফুলতলা প্রতিনিধি গাজী মাকুল উদ্দীন তিনি মটরসাইকেল যোগে নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে রেল লাইন পার হওয়ার সময় অল্পের জন্য বেঁচে যান।
তিনি বলেন, ‘শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিরোমণি হাফিজিয়া মাদ্রসা, শিরোমণি হলি চাইন্ড কিন্ডার গার্ডেন স্কুল সহ অসংখ্য স্কুল ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের হাজারও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। গেটম্যান ও গেট না থাকায় গত বছর রেল লাইনের দূর্ঘটনা ঘটে শিরোমণিতে ৩ জন মারা গেছে।’
এদিকে ফুলবাড়ীগেট জাব্দিপুর রেলক্রসিং’এ একই অবস্থা করছে। কিছু দিন আগে এই গেটের বেরিয়্যাল বসানো হলেও গেটম্যান দেয়া হয়নি। ফলে ব্যাস্ততম এই সড়কের রেলক্রসিংয়ের গেটের বেরিয়্যাল (গেট) না ফেলায় যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে রেলিগেট-আফিলগেট এলাকার দায়িত্বে থাকা মেটম্যান আঃ সাত্তার জানান, দুটি গেটেই গেটম্যান দেওয়ার ইচ্ছা কর্তৃপক্ষের রয়েছে। কিন্তু রেল বিভাগের জনবল সংকটের কারনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে জনবল নিয়োগ হলে দুটি গেটেই গেটম্যান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম