করোনাভাইরাসের মহামারিতে পর্যুদস্ত বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা মহামারির শুরু থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণের কার্যকর ও নিরাপদ ওষুধ উদ্ভাবনে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি টিকা উদ্ভাবন ও প্রয়োগও শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন দেশে।
কিন্তু মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিস্তান হাঁটছে অন্য পথে। করোনার চিকিৎসায় দেশটির সরকার বিজ্ঞান নয়, ভেষজ চিকিৎসার ওপর নির্ভর করছে। তা–ও আবার বিষাক্ত একটি গুল্মজাতীয় গাছের শুকনা শিকড় থেকে রস তৈরি করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো প্রকাশ্যে ওই রস পান করেছেন।
তবে এতে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, অ্যাকোনিটাম সুনগারিকাম নামের বিষাক্ত ওই গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের রস খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কিরগিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলিমকাদির বেশেনালিয়েভ সরকারের এই উদ্যোগের প্রচারে গত শুক্রবার অনলাইন ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন। এ সময় তিনি অ্যাকোনিটাম সুনগারিকামের রসের মিশ্রণ পান করে বলেন, এটি নিরাপদ। তিনি বলেন, মৃদু উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁরা এটি পান করলে এক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন। আর গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা পান করলে তিন থেকে চার দিনে সুস্থ হবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কিরগিস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ এই ওষুধ তৈরির কৌশল শিখেছেন তাঁর বাবার কাছ থেকে। প্রেসিডেন্ট নিজে দেশের চিকিৎসকদের ওষুধটি তৈরির কৌশল জানিয়েছেন এবং তা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকেরা তা ব্যবহারও করছেন।
তবে কিরগিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা বেরমেত বারিকতাবাসোভা বলেছেন, অ্যাকোনিটাম সুনগারিকাম হলো কিরগিস্তানের সবচেয়ে বিষাক্ত গুল্মগুলোর একটি। এর রস খুব অল্প পরিমাণে পান করলে মৃত্যুও হতে পারে।
এর আগে তানজানিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি করোনার টিকাকে আফ্রিকার সম্পদ লুট করতে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছিলেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনার চিকিৎসায় ব্লিচিং পাউডারের মিশ্রণ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই