খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন হচ্ছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এখান থেকেই ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনের সাফল্যের ভিত্তি তৈরি হয়। শিক্ষা জীবনের চেয়ে মধুর স্মৃতি আর নেই। সারা জীবন তা মনে থাকে। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের সাফল্যই শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। শিক্ষকদের মন ভরে ওঠে তাঁর শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব, সাফল্য ও সুনাম দেখে ও শুনে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলায়তনে আয়োজিত শিক্ষাসমাপনীর ২য় দিনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই যা দেখতে চাই তা হচ্ছে অনিয়ম, দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও সমাজ। এই দেশটা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তাই আজকে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে বের হচ্ছে বা হবে এই নতুন প্রজন্মের প্রতি সবার প্রত্যাশা যে তারাই বদলে দেবে এই সমাজ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথ ধরে তারা এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যতো মনীষী এসেছেন তারা নিজেরাই আগে পথ দেখিয়েছেন। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে অন্যরাও সে সাথে হেঁটেছেন। তাই আজকের শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম যদি নিজেরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়, তারা যদি সত্য অনুসন্ধানী হয়, তারা যদি নিজেরা ভালো কাজ করে, তবে এ সমাজ থেকে মাদক, অনিয়ম, দুর্নীতি সহজে দূর করা সম্ভব।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যারা এখান থেকে পাস করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ইতোমধ্যেই তারা একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তারা সুনামের সাথে, সততার সাথে কাজ করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ ব্যাচের শিক্ষা কোর্স সম্পন্নকারী সকল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করে আশা প্রকাশ করেন তারাও মহান ব্রত নিয়ে কাজ করবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন দেশ ও সমাজ, তোমাদের পরিবার তোমাদের জন্য অপক্ষো করছে। তোমরা সে আশা পূরণে কাজ করলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরিফ হাসান লিমন। আয়োজক কমিটির আহবায়ক ডানা শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের মধ্য ধেকে বক্তব্য রাখেন সাবরিন নাহার মিথিলা ও মারভিনা রহমান রিতু। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।