যশোর সদর উপজেলার নারঙ্গালী সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে একটি পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগ গত শুক্রবার স্কুলের দুইতলা ভবনে শিক্ষক কলিম হোসেনের কাছে ওই শিক্ষার্থী কোচিং করতে যায়। কোচিং শেষে কলিম হোসেন ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রাণি করে। পরে এ বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করে শিক্ষক কলিম। তাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায় বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারকে জানায়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
এদিকে, ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এসব অভিযোগ এনে গত সোমবার স্কুলে গিয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর থেকেই ওই শিক্ষক বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তিনি রাজনৈতিক একটি মহলকে ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ দিয়েছিলো। পরে স্কুল কমিটি ও শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বসেছিলেন। তারা মিমাংশার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মেয়ের পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্কুল ও ম্যানেজিং কমিটির কাছে এ বিষয়ে তারা অভিযোগ দিয়েছেন। পরে তারা কি করেছেন এ বিষয়ে তারা জানেন না।
অভিযুক্ত শিক্ষক কলিম হোসেনের কাছে জানতে তার মোবাইলে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন ও পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক কলিম হোসেনের এ বিষয় নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের দাবি মোটা অংকের দেন দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই খান মাইদুল ইসলাম বলেন, এ অভিযোগ তিনি লোক মারফতে শুনেছেন। তবে ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তারা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই