বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, শহীদ জিয়াই এদেশে শিক্ষকদের জন্য প্রথম এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষকদের অধিকার নিশ্চিতে বিএনপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের সকল ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি সবসময় শিক্ষক সমাজের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে। শিক্ষকদের আর্থিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় করলেই শিক্ষা বিস্তারের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলারোয়া ফুটবল মাঠে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতির শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাতক্ষীরা জেলা ও কলারোয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আমানুল্যাহ আমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হাবিবুল ইসলাম হাবিব আরো বলেন, আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করিয়েছি। এই জনপদে শুধু নয় এই দেশে কোথাও একসাথে এতগুলো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নজির দ্বিতীয়টি নেই। এটি একটি বিরল ঘটনা। সে সময় কোন শিক্ষককে নিয়োগ কিংবা এমপিওভুক্তিতে একটি টাকা দিতে হতোনা।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় কোটি কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অবৈধ লেনদেন বন্ধ করার আহবান জানান।
অবৈধ পন্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর নিয়োগ দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি শিক্ষকদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার তাগিদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মোল্লা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আশরাফ হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ আবু বক্কার সিদ্দিক ও শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কলারোয়া সরকারি পাইলট হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ তামিম আজাদ মেরিন, বিএনপি নেতা গোলাম রসুল, আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমূখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা বাকী বিল্লাহ শাহী ও কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ.করিম।
খুলনা গেজেট/ টিএ