খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

শাশুড়ির কামড়ে জামাইয়ের কান বিচ্ছিন্ন !

পাইকগাছা প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনায় জামাই শ্বাশুড়ির দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের জের পৌছায় হাসপাতাল পর্যন্ত। শ্বাশুড়ির কামড়ে জামাইয়ের শরীর থেকে কানের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন আর জামাইয়ের আঘাতে শ্বাশুড়ির হাতের শিরা কেটে যায়। ঘটনাটি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুরের চেচুয়া গ্রামের। বর্তমানে তারা দু’জন পাইকগাছা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

জামাই পাইকগাছা উপজেলার চেচুয়ার গ্রামের বাসিন্দা আছিরউদ্দিনের ছেলে আ: কুদ্দুস। তিনি বলেন রোববার বিকেলে শ্বাশুড়ি হাফিজা খাতুন বাড়িতে এসে তার নিকট টাকা ধার চান। এর আগে শ্বাশুড়ি একবার মেঝ শ্যালককে আদালত থেকে জামিনের জন্য ৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ভারতে অপর শ্যালক আটক থাকায় টাকাটা ধার করতে আসেন তিনি। টাকাটা ধার দেওয়াতে অস্বীকৃতি জানালে জামাই শ্বাশুড়ির মধ্যে বাকবিতান্ড হয়। এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শ্বশুড়ি জামাইয়ের কানে কামড় দিলে শরীর থেকে কান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময়ে শ্বশুড়ির আক্রমণ থেকে বাচতে গিয়ে তাকে ঠেলা দিলে পাশ্ববর্তী ঘেরার ওপর পড়ে গিয়ে হাতের শিরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় দু’জনের বাকবিতন্ডার জেরে শ্বাশুড়ি জামাইয়ের বাম কানে কামড় বসিয়ে নিচের অংশ ছিড়ে ফেলে। এসময় জামাই আত্মরক্ষায় শ্বাশুড়িকে ধাক্কা দিলে সে পাশের ঘেরার উপর পড়ে হাতের তালুর উপরের টেন্ডুল (শিরা) কেটে জখম হয়। পরে তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, একজনের কান ছিড়ে গেছে ও অপর জনের হাতের শিরা কেটে গুরুতর জখম হয়েছে। দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলা হয়েছে।

এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!