লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডাক্তার, ডিপ্লোমাধারী নার্সসহ নানা অনিয়ম থাকায় যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারের ৩টি বেসরকারি ক্লিনিক সিলগালা করেছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে পরিচালিত পরিদর্শন কার্যক্রমে এসব অনিয়ম ধরা পড়ায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয় ক্লিনিকগুলোতে। ওই ৩টি প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন বিধি উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, একটি পক্ষ যশোর শহরসহ উপজেলা ও ছোট বড় বাজার পর্যায়ে অবৈধভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানকে কয়েকবার সতর্ক করা হলেও তারা উল্টো রোগি সেবার নামে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদন ছাড়াই শয্যাও খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি নেই, ডাক্তার ও নার্স নেই, এরপরও প্রতিদিন রোগি দেখা হচ্ছে। রোগী ভর্তি রেখে প্যাথলজিক্যাল নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলা জনসেবা ক্লিনিক, বাগআঁচড়া ক্লিনিক ও আল মদীনা ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে সিলগালা করা হয় ওই তিন প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার রেহনেওয়াজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘কোন কাগজপত্র ছাড়াই চলছিল ওই তিন প্রতিষ্ঠান। তাদেরকে বারবার নোটিশ করা হয়েছে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃপক্ষ কিছুই করেননি। লাইসেন্স না থাকা, প্যাথলজি সমস্যা, ডাক্তার নার্স না থাকায় ক্লিনিকগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।’
খুলনা গেজেট / এআর