শাকিল হোসেনের (২০) সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪)। এ পরিচয়ের সূত্র ধরেই প্রেম। ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন শাকিল। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি স্কুলছাত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল ও তার সহযোগী ইব্রাহিম শেখ (৪৫) ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় যশোরের শার্শা থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার পরই পুলিশ দুপুরে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় দুই অপহরণকারীকেও গ্রেফতার করা হয়। আসামি শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখের বাড়ি কুষ্টিয়ার ইবি থানার বরইপাড়া গ্রামে।
মামলায় বলা হয়, বাদীর বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। তার মেয়ে উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। শাকিল হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ের মুঠোফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাকিল তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার মেয়ে সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে তার মেয়ে বিদ্যালয় থেকে নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় বিদ্যালয়ের সামনে পাকা সড়কের ওপর থেকে শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখ তার মেয়েকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে যশোর শহরের দিকে নিয়ে যায়। মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু তারা মেয়েকে রক্ষা করতে পারেননি।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার ও দুই আসামি শাকিল ও ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে অপহৃত ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম