যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে পারিবারিক কলহের কারণে ঝর্ণা খাতুন (৩০) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ফারুক হোসেন পলাতক রয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ১০ বছর আগে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ঝর্ণা খাতুনের বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে।
তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারুক পেশায় গরু ব্যবসায়ী। প্রথমে তাদের সংসার জীবন ভালো চললেও গত কয়েক বছর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিলো। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী ফারুক স্ত্রী ঝর্ণাকে বেধড়ক মারপিট করে। পরদিন সকালে ঘরের আড়ার সাথে ঝর্ণার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
গৃহবধূর ভাই তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আমার বোনকে যখন ফারুকের সাথে বিয়ে দেই, তখন তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিলো না। গত কয়েক বছর ধরে জামাই ফারুক যৌতুকের জন্য প্রায় বোনকে মারধর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো। বোনের সুখের কথা ভেবে আমরা কয়েক দফায় তাকে অনেক টাকা দিয়েছি। কিন্তুু তারপরও আমাদের কাছে যৌতুকের আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা না দিতে পারায় বোনকে পিটিয়ে হত্যা করে নিজের অপকর্ম ঢাকতে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে সে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
খুলনা গেজেট/ এস আই