যশোরের শার্শা উপজেলার হাতেম আলী সরদার হত্যা মামলার দুই আসামিকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। একইসাথে তারা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছেন। পরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মলিকের আদালতে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়।
আসামিরা হলো, শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের মৃত মশিয়ার সরদারের দুই ছেলে বাবলু সরদার ও জাহাঙ্গীর সরদার । পুলিশ জানায়, ১৩ আগষ্ট শুক্রবার সকালে নিহত হাতেম আলী সরদারের বড় ভাই জহুর আলী সরদারের সাথে বাবুল সরদার ও জাহাঙ্গীর সরদারের জমি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওইদিন বিকেলে বাবুল ও জাহাঙ্গীর জমির বিষয়ে আলোচনা করবে বলে হাতেম আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পরিকল্পিতভাবে বাবুল ও জাহাঙ্গীর বাঁশের লাঠি দিয়ে হাতেম আলীর মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাতেম আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ।
এরপর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আজগর আলী সরদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাবলু সরদার ও জাহাঙ্গীর সরদারকে আটক করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, আসামিরা আদালতে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাতেম আলীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। জবানবন্দী গ্রহন শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/কেএম