খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

শত বছরেও পাকা হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন, ঝড়ে উড়ে গেছে টিন

শাহিন আহমেদ, অভয়নগর

যশোরের অভয়নগরে ঝড়ের কবলে পড়ে শতবর্ষী বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। যে কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে, সিদ্ধিপাশা ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনি ঝড়ে উড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যালয়ের ৮ম ও ৯ম শ্রেনী কক্ষের ছাউনীর টিন দুমড়ে-মুচড়ে নিচে পড়ে আছে। বেঞ্চ গুলোতে ধুলা বালিতে ভরে গেছে। শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার্থীদের বসার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে মেরামত করা না গেলে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

১৯২৬ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও অবকাঠামোর দিক দিয়ে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয়ে প্রায় তিনশ ছাত্রছাত্রী থাকলেও ছাদের কোন পাকা ভবন নেই। এর ফলে মাঝেমধ্যে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে অসুবিধা হয়। বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান ভালো থাকলেও পাকা ভবন না থাকায় স্থানীয় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী দূরের অন্যত্র প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়।

বিদ্যালয় সরকারী ছুটি থাকলেও ঝড়ে শ্রেণীকক্ষের টিন উড়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে দেখতে আসেন ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রুদ্র। কথা হয় বিদ্যালয়ের সম্পর্কে। রুদ্র বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টির বয়স ১০০ বছর হয়ে গেছে। অথচ কোন ছাদের ঘর নেই। আমরা প্রতিনিয়ত ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে জরাজীর্ণ শ্রেনীকক্ষে পড়ালেখা করি। তাই সরকারের কাছে আমাদের বিদ্যালয়টি পাকা ভবন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক গাজী হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স প্রায় একশ বছর হতে চললেও আধুনিকতার ছোয়া এখনো পাইনি। গত শনিবার রাতে ঝড়ে শ্রেনীকক্ষের টিনের ছাউনী উড়িয়ে নিয়ে গেছে। যথাসময়ে মেরামত করা না গেলে ওই শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে ব্যহত হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রেনীকক্ষ দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিন উড়ে গেছে এমন কোন সংবাদ পাইনি। সংবাদ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!