নড়াইলের লোহাগড়ায় নিখোঁজের চারদিন পর এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।নিহত পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখ উপজেলার চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে। পুলিশ বুধবার বিকালে নিহতের বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ী পার্শ্বে বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে ও এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখের সাথে একই গ্রামের সবুর শেখের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগসহ দেখা-সাক্ষাত হতো।
তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৮টার পর সিরাজ নিখোঁজ হলে তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পরিবারের থানায় সাধারন ডায়েরী করে। জিডির একদিন পর বুধবার বিকালে এলাকাবাসী লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ীর পার্শ্বে বাগানের মধ্যে একটি বিকৃত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে নিহত সিরাজের পরিবারের সদস্যরা লাশ সনাক্ত করে এবং পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসীর ধারনা, অজ্ঞাত দূবৃর্ত্তরা সিরাজকে কৌশলে হত্যা করে তার মুখমন্ডল দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে বিকৃত করে নির্জন স্থানে ফেলে রাখে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকা ইয়াসমিন, তার পিতা সবুর শেখ, ও তার মা এবং ভাই জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন জানান, এটি একটি হত্যাকান্ড। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড