লোহাগড়ায় দু’সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমাবর দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রাম পূর্বপাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ওই এলাকার আলিম শেখের স্ত্রী শেফালী বেগম ওরফে আন্না। তবে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দূর্বৃত্তরা এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ধারণা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে মেয়েকে খাবার দিতে শেফালী বেগম পাশ্ববর্তী মাদ্রাসা খাদিজাতুল কোবরা কওমী মাদ্রাসায় যান। এ সময়ে তার সাথে জা পারুল বেগমও ছিলেন। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খেয়ে পারুল বেগম ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে শেফালী ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয়। পারুল বেগম ঘরের পেছনের দরজার ছিটকানি বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শেফালীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বাটি ও সোনার গহনার ৫ টি খালি বক্স উদ্ধার করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত শেফালী বেগমের দেবর আবেদ শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকা ও সোনার জন্য আমার ভাবীকে খুন করা হয়েছে, আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই ’।
উল্লেখ্য যে, নিহত শেফালী বেগমের স্বামী জাহাজে কর্মরত, বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড