খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

লোহাগড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বরসহ ১৫ জন আহত

লোহাগড়া  প্রতিনিধি 

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য নজরুল মোল্লার বাড়ি ভাংচুরসহ ধান ও নগদ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদেরকে লোহাগড়া, কালিয়া এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ওই এলাকার দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের মিন্টু মোল্যা সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের ফারুক মোল্যা সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার (১০ মে) সকালে ওই গ্রামের ইউপি মেম্বর মোঃ নজরুল মোল্যার বাড়িতে প্রতিপক্ষ ফারুক মোল্যা সমর্থিত রহমান, সুজন, সাকা, হিরু, ইব্রাহিম মোল্যা সহ ১৫-২০ জনের একদল দূর্বৃর্ও হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে ১৮ মণ ধান ও নগদ ২১হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর কোটাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাচান মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুরোধেকে অমান্য করে বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল ৭টার দিকে ইকবালের চায়ের দোকানের সামনে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সরকি, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, বল্লম, হাসুয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ৩০ মিনিট ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষ সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন মিন্টু মোল্যা, মিলু, সুজন, মাহাবুর, লেকজান বেগম, আমির, মুন্নাফ, জামির, কামরুল, ইব্রাহিম, ওসমান, লিটন, তারু, শাহীন, আবুল হাসান, রাজীব, হাসমত। আহতদেরকে লোহাগড়া, কালিয়া ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোটাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাচান মাহমুদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনটি ঢাল, এগারোটি সরকি ও দুইটি বল্লম উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!