নড়াইলের লোহাগড়া বাজারের বিভিন্ন অলি-গলিসহ সড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বাজার দিয়ে চলাচলকারীরা। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় বাজারের সড়কগুলো। পানি কাঁদার ভিতর দিয়ে বাজার করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এদিকে বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বাজার দিয়ে চলাচলকারী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে লোহাগড়া পৌর শহর ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহর ও বাজারের বিভিন্ন অলি-গলি সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্ট হয়। এ কারণে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বাজার দিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
লোহাগড়া বাজারে হাজারেরও অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে বিভিন্ন পণ্যের বড় বড় শো-রুম রয়েছে। এ বাজারে টিন, রড, সিমেন্ট ও কাপড়ের বড় বড় দোকান রয়েছে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ বাজারে হাট বসে। কিন্তু বাজার বসে প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এ বাজারে প্রায় শতাধিক গার্মেন্টসের দোকান, ৫০টির মতো স্বর্ণের দোকান, ৭০ এর অধীক ওষুধের দোকান রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এ বাজারে।
এছাড়া লোহাগড়া বাজারে রয়েছে সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, কমার্স ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের উপশাখাও রয়েছে এ বাজারে।
শুক্রবার লোহাগড়া বাজার থেকে রড বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভ্যানচালক মো. সাহেব আলী কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, বাজারের ভিতরের সড়কে গর্তের পাশাপাশি কাঁদা-পানিতে একাকার তাই ভ্যানচালাতে অনেক কষ্ট হয়।
লোহাগড়া বাজারে কেনাকাটা করতে এসে লোহাগড়ার জয়পুর ইউনিয়নের মরিচ পাশা গ্রামের পিকুল আলম বলেন, লোহাগড়া বাজার একটি বড় বাজার। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদা-পানিতে চলা যায় না।
লোহাগড়া পৌর সভার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল খাঁন বলেন, লোহাগড়া বাজারের অনেক সুনাম রয়েছে। এ বাজারে দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন বাজার করতে আসেন। কিন্তু বৃষ্টির দিনে বাজারের সড়কগুলোতে কাঁদা পানি থাকায় সাধারণ মানুষ বাজারে এসেই দুর্ভোগে পড়েন।
লোহাগড়া বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মুনায়েম বলেন, বৃষ্টি নামলে বাজারের ভেতরের সড়কের চিত্র খুবই করুণ হয়ে যায়। হাঁটতে চলতে খুব অসুবিধা হয়। এ জন্য ব্যবসায়ীদের বিক্রিও কমে গেছে।
লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সাজিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় লোহাগড়া বাজারে চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বই, খাতা কিনতে ও পোশাক পরিচ্ছদ তৈরি করার জন্য প্রায়ই বাজারে আসতে হয়। বৃষ্টির কারণে বাজারে এসে কাঁদা পানির ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিঠুন মৈত্রর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোহাগড়া বাজার সহ পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক গুলোর খোঁজ-খবর নিয়েছি। বাজারের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাজারসহ মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেলে দরপত্র আহবান করে দ্রুত সময়ে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে৷
খুলনা গেজেট/এএজে