নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড লক্ষীপাশা পশ্চিমপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নারীসহ ৪ জনকে বেধড়ক মারপিট করেছে একদল দুর্বৃত্ত। আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর এলাকার লক্ষ্মীপাশা পশ্চিমপাড়ায় নেপাল বিশ্বাসের সাথে শ্যামল বিশ্বাসের ২ শতাংশ জমির উপর তৈরি করা সার্বজনীন চলাচলের রাস্তার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একই পাড়ার নেপাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে বলো বিশ্বাস, গোলক বিশ্বাস, প্রদীপ বিশ্বাস, সহদেব বিশ্বাস সহ ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোঠা, রামদা, ছ্যানদা, হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে শ্যামল বিশ্বাসের বাড়িতে। হামলায় শ্যামল বিশ্বাস (৫০) তার স্ত্রী দিপালী বিশ্বাস (৪৫), তার মেয়ে সরকারি লোহাগড়া আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অনার্স পড়ুয়া শিউলি বিশ্বাস (২২) ও অমেলা বিশ্বাস (৬৩)কে বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা শ্যামল বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙচুর করে নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যায়, ‘এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আবারও মারপিট করা হবে বলে হুংকার দেয়’।
পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। আহতরা লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গুরুতর আহত শিউলি বিশ্বাস বলেন, ২০১৮ সালে আমার বাবা শ্যামল বিশ্বাস লক্ষীপাশা পশ্চিম পাড়ার আনিচ বিশ্বাসের কাছ থেকে বসতবাড়ি বানানোর জন্য জমি ক্রয় করেন। জমির মালিক আনিচ বিশ্বাস ২ শতাংশ জমি সকলের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেন। দীর্ঘ ছয় বছর যাবত ওই রাস্তা দিয়ে আমরাসহ স্থানীয়রা নির্বিঘ্নে চলাচল করে আসছি। হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার বহিরাগত মাস্তান নিয়ে এসে জোর পূর্বক ওই রাস্তার জমি দখল করে আরসিসি পিলার দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করেন। এতে করে ১৫ টি পরিবারের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ কাজের বাধা দেওয়ায় আমাদের উপর এই হামলা চালান। আমরা এই দূর্বৃত্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, ঘটনা শুনেছি। ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম