নড়াইলের লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ১০২ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেন পৌরসভার মশাগুনি গ্রামের মো: আজিবর মল্লিকের ছেলে মো: শহিদুল মল্লিক।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লোহাগড়া থানায় মামলা নম্বর ১১, তারিখ ১৫/৯/২০২৪ ইংরেজি।
মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমকে এক নম্বর আসামি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র বিশ্বনাথ দাস ভন্ডুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটু, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শিহানুক রহমান, লাহুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরান সিকদার, জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিওন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ শেখ, সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে লোহাগড়া সি এন্ড বি চৌরাস্তা এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উল্লেখিত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, লাঠি, ছোরা, শর্টগান, পিস্তল, হাতবোমাসহ মারাত্মক অস্ত্রাদী নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্য বাদী, সাক্ষীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করে ও বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় এনপিপির চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের বাড়িসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাড়ির গেট ভাংচুর করে। এসব বাড়ি ভাংচুর চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। ভাংচুর চালিয়ে সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে এবং আতংক সৃষ্টি করে চলে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম