খাবারে ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে ঝিকরগাছার কোমরচান্দায় এক প্রবাসীর বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে চোরচক্র। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে মামলা নিতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা পেছে, গত ১৮ অক্টোবর রাতে কোমরচান্দার প্রবাসী নুর উদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা বেগম, ছেলে বিপ্লব ও ছেলে বউ আশা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। স্ত্রী তাহমিনা নামাজের জন্য প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠলেও ১৯ অক্টোবর দেরি করে ওঠেন। আর উঠেই ওই পরিবারের তিনজনই দেখতে পান দরজার বাইরে থেকে সিটকানি দেয়া। পরে জানালা দিয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশিদের ডেকে বের হন তার। পাশের কক্ষে গিয়ে দেখেন তাদের ৩টি বড় বাক্স ভাঙা ও মালামাল তছনছ করা। পরে দেখতে পান একটি বাক্সে রাখা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে চোর চক্র। স্ত্রী তাহমিনা, মেয়ে নাসরিন, নাতি রাইশার গহনা মিলিয়ে ১০ লাখ টাকার গহনা চুরি হয়।
এ ঘটনায় ছেলে বিপ্লব থানায় অভিযোগ করলে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই স্বপন কুমার, এসআই কামরুজ্জামান প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিবারের লোকজন তাদের জানান, সকালে তাদের ঘুম কাটছিল না। রান্না ঘর একটু দুরে। কাজেই কৌশলে রান্নাঘরে ঢুকে রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতে পারে চোরচক্র। ছাদের দরজা খোলা থাকে অনেক সময়। ছাদ দিয়ে এসে ঘুমিয়ে থাকা সদস্যদের বাইরে থেকে সিটকানি দিয়ে চুরি করেছে। বাগআঁচড়া পুলিশ টিম যাওয়ার ৪ দিন পর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভাঙা তালা, আলমারির আলামত সব নিয়ে আসে পুলিশ। ওই পরিবারের দাবি বড় ধরনের চুরির ঘটনার ১০ দিন পার হলেও মামলা রেকর্ড করা হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী তাহমিনা, মেয়ে নাসরিন, ছেলে বিপ্লব ও জামাই ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন, চুরির ঘটনায় পুলিশ নিরবতা পালন করছে। ফাঁড়ির পর ওসি পরিদর্শন করার পরও মামলা রেকর্ড করা হয়নি। কেন মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে না এই ব্যাপারে তারা পরিস্কার করে কিছু বলছেনও না।