অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভায় করোনা প্রতিরোধে ও লকডাউন বাস্তবায়নে স্কুল শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছে। রবিবার (৪ জুলাই) সরেজমিনে, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের তালতলারচৌরাস্তা মোড়ে বিভিন্ন স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধ ও লকডাউন বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, ওই ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রাশিদা বেগম নেতৃত্বে তালতলা এলাকার জাকির হাওলাদারের ছেলে রুম্মান হাওলাদার (১৬), সে একতার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে লেখা পড়া করে। সালাম খান এর ছেলে রাকিব খান (১৬), সে সিরাজকাটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। এছাড়া জালাল শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ (১৫), মিন্টু হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন (১৬) সহ ১০ শিক্ষার্থী এ স্বেচ্ছাসেবক দলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, করোনা রোধে স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করানো ঠিক নয়। তারাও তো যেকোন মুর্হূতে করোনা আক্রান্ত হতে পারে। তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে কে? এব্যাপারে দলনেতা রুম্মান জানায়, করোনা প্রতিরোধে আমরা রাস্তায় অহেতুক মানুষের ঘোরাঘুরি না করতে নিষেধ করছি। এছাড়া মটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ অন্যান্য যানবহনে যাত্রীরা যাতে কাছাকাছি না বসে সে দিকে তাদেরকে সচেতন করছি।
মহিলা কাউন্সিলর রাশিদা পারভীন বলেন, তার ওয়ার্ডের ১০ জন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবক এর দায়িত্ব পালন করছে। তারা সাবাই এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। রবিবার সকাল থেকেই নওয়াপাড়া পৌরসভার মোড়ে মোড়ে পুলিশের কর্মকান্ড ছিল চোখে পড়ার মত। সেনাবাহিনী, বিজিবি’র সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। এছাড়া আনসার, ব্যাটিলিয়ানরাও প্রশাসনকে সারা দিন সহায়তা করেছে। সেই সাথে নওয়াপাড়া পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দলও ছিল মাঠে। তারা বাজারের প্রবেশ পথে দায়িত্ব পালন করছে প্রতিদিন। ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রি হুইলার ও মটর সাইকেলে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে তারা বাঁধা সৃষ্টি করছে।
নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে পৌরসভার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডে পৌর কাউন্সিল মিজানুর রহমান মোল্যার নেতৃত্বে ৬টি দলে মোট ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক সারা দিন স্বেচ্ছায় কাজ করছে বলে তিনি জানান। তারা পৌরসভার জগবাবুর মোড়, পশু হাসপাতালের মোড়, মিলন ডাক্তারের ক্লিনিক এর মোড়, গরু হাট খোলার বাইপাস সড়ক, খেয়া ঘাট ও কাঁচা বাজারে অতিরিক্ত জনসাধারণের সমাগম বন্ধ ও লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি