লকডাউন চলছে। গণপরিবহনও এর আওতায়। গণপরিবহন বন্ধের সুযোগ নিচ্ছে রিক্সাওয়ালারা। স্বাভাবিক সময়ের থেকে তারা যাত্রীদের নিকট থেকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়া আদায় করছেন। ভাড়া দেওয়া নিয়ে প্রায়ই যাত্রী ও চালকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি পর্যন্ত হচ্ছে।
মোঃ আশরাফ। থাকেন মৌলভীপাড়ায়। নিয়মিত মায়ের ঔষধ ক্রয় করেন ময়লাপোতা মোড় থেকে। রিক্সা ভাড়া তার জানা। ভাড়া চুক্তি না করে রিক্সায় উঠে পড়ায় বাঁধে এ বিবাদ। সেখানে তাকে গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ।
তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে ওই স্থান থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত ভাড়া বিশ টাকা। গন্তব্য পৌঁছানোর পর বিবাদের সৃষ্টি হয়। যাত্রী বলেন, ভাড়া বিশ টাকা আর চালক দাবি করে চল্লিশ টাকা। এ নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হলে ওই এলাকার উপস্থিত মানুষ এসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে যাত্রীকে দিতে হয় চল্লিশ টাকা।
শুক্রবার দুপুরে শহরতলীর নৈহাটী গ্রামের মনিরা খাতুন রূপসাঘাট থেকে পিকচার প্যালেস মোড়ে এসেছিলেন। চালক তার কাছে ১শ’ টাকা দাবি করলে সেখানেও শুরু হয় মতবিরোধ।
রিক্সাচালক সলেমান এর আগে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালাতেন। স্বল্প সময়ে তার অধিক আয় ছিল । ইঞ্জিনচালিত রিক্সা বন্ধ হওয়ার পর এখন অধিক পরিশ্রমে তেমন আয় করতে পারেন না। করোনা নিয়ন্ত্রণে চলছে লকডাউন। কাঙ্খিত আয় না থাকায় বাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি