পণ্যবাহী ট্রাক বা পিকআপকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হলেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুলনার কাঁচা বাজারে। শনিবার (২৬ জুন) নগরীর কয়েকটি বাজারে এর বাস্তব চিত্র দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষকে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ লুৎফুর রহমান জানান, গত দুইদিন ধরে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে ক্রেতাসমাগম বেশী। কাঁচাবাজারের প্রতিটি দ্রব্যের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা বাজারে বেগুন এখন প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পটল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কুশি ৫৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, বরবটি শিম ৬৫ টাকা, কঁচুরমুখী ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ একসপ্তাহ আগে বেগুন ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা, কাকরল ৪৫ টাকা, বরবটি শিম ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি খুলনা গেজেটকে জানান, পাইকারি বাজারেও সব জিনিসের মূল্য বেড়েছে। তাছাড়া ওই বাজার থেকে চড়া মূল্যে তাকে মাল ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মিস্ত্রীপাড়া কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, পাইকারি বাজারে আগের মতো কাঁচামাল আসছেনা। লকডাউনের কারণে পরিবহন সংকট থাকায় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন। এটা জানতে পেরে খুলনা শহরের অধিকাংশ ক্রেতা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মালামাল ক্রয় করতে। ফলে বাজারে কিছুটা সংকট আছে।
ওই বাজারের মাছ বিক্রেতা আশরাফ হোসেন জানান, অন্যদিন বিক্রি করতে তার দুপুর গড়িয়ে যেত। সামনে কঠোর লকডাউনের খবরে ক্রেতারা অগ্রীম মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্রেতা উজ্জ্বল কুমার জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে সব মালামাল বিক্রি শেষ। তাছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় মালের যোগান কম থাকায় সব জিনিসের দাম বেশী। কাঁচামাল ক্রয় করতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম