খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

লকডাউনের পাঁচ দিনে বাগেরহাটে ৪৭০ মামলা, সোয়া দুই লক্ষ টাকা জরিমানা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সরকার ঘোষিত সার্বিক লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে বাগেরহাটের প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, সেনা বাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা কাজ করছে মাঠে। সার্বিক লকডাউনের প্রথম পাঁচ দিনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাগেরহাটে ৪৭০ মামলা, ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৩৫ টাকা জরিমানা ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১লা জুলাই থেকে ৫ জুলাই রাত পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা প্রশাসণের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট এবং বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা এই অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা ও দণ্ডাদেশ দেয়। লকডাউন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় পুলিশের পাশাপাশি, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) দুপুরে বাগেরহাট ফলপট্টি মোড়স্থ এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুবাইয়া বিনতে কাশেম। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অন্তত ত্রিশ জনকে জরিমানা করেন তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুবাইয়া বিনতে কাশেম বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আমরা মানুষকে সচেতন করছি। তবে কেউ যদি স্বাস্থ্যবিধি মানতে অবহেলা ও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাহলে তাকে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কারাদণ্ডও দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করতে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। মাইকিং, মাস্ক বিতরণ ও জনগণকে সচেতন করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসবের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। গেল পাঁচ দিনে ৪৭০ মামলা করা হয়েছে। এই সময়ে ৪৮৯ জনকে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৩৫ টাকা জরিমানা এবং ১১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব কাজে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনা সদস্যরা আমাদেরকে সহযোগিতা করছে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সরকার কর্মহীনদের খাবারেরও ব্যবস্থা করেছে। এই সময়ে কর্মহীন অনেক মানুষকে আমরা খাবার দিয়েছি। এছাড়াও ৩৩৩ নম্বরে যারা ফোন করছেন, তাদের সকলকে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!