ডুমুরিয়ার চুকনগরের মঠবাড়িয়ায় রেজিষ্ট্রেশনবিহীন ভূয়া সমিতির নামে সদস্যদের সঞ্চয়ের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকাশ কুমার মনু (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ৮৪০ জন সদস্য তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ পেতে ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও সমিতির সদস্যগণ মনুর বাড়ি ঘেয়াও করে তাদের পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া মালোপাড়ার মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের ছেলে প্রকাশ কুমার বিশ্বাস মনুর বাড়ির সাথে একটি মুদি দোকান রয়েছে। সে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহল্লার বিভিন্ন শেণি পেশার দুই শতাধিক মানুষকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত করেন। সমিতির নাম দেয়া হয় মঠবাড়িয়া মালোপাড়া পল্লী যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতি। যার কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই এবং মোট সদস্য সংখ্যা ৮৪০। দীর্ঘ একযুগ অতিবাহিত হয়ে চলতি বছরে সমিতির মেয়াদ শেষ হয়।
এদিকে স্বস্ব সদস্যদের সঞ্চয়ী বইয়ের চুড়ান্ত হিসাব করে স্বস্ব বইয়ের মোট প্রাপ্য টাকার কথা উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেছেন সমিতির নেতা প্রকাশ কুমার মনু। যা ৮৪২ সদস্যের লভ্যাংশ ও সঞ্চিত মোট সঞ্চিত টাকার পরিমাণ ৫৪ লক্ষ টাকা। আর লাভ সহ প্রায় কোটি টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সদস্যদের সঞ্চিত টাকা ফেরৎ না দিয়ে সে নানা টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সমিতির সদস্য শংকর বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস, দীলিপ বিশ্বাস,অসীম বিশ্বাস, পঙ্কজ বিশ্বাস, মমতা বিশ্বাস, অঞ্জলি বিশ্বাস, সুচিত্রা জৌতি বিশ্বাস, পবিত্রা বিশ্বস, গোপাল বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাস, সমিরণ বিশ্বাসসহ উপস্থিত প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ জানান, সমিতির সঞ্চিত টাকা নিয়ে মনু নানা টালবাহানা করছেন। সঞ্চিত টাকা ফেরৎ পেতে আমরা ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত সমিতির নেতা প্রকাশ কুমার মনু জানান, সমিতির কোন নিবন্ধন নেই। অনেক দিন ধরে সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে আসছি কোন সমস্যা হয়নি। অনেক সদস্যের টাকা পরিশোধ করেছি। আবার কিছু সদস্য টাকা পাবে। সেই টাকা ফেরৎ দেয়ার চেষ্টা করছি।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন তদন্ত সঞ্জয় দাশ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে তারা স্থানীয়ভাবে একটি আপোষ মিমাংসা করে থানাকে অবহিত করবেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি