রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের চারটি মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড শুনানির দিন মঙ্গলবার (১০ আগস্ট)। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদী ও ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে পুলিশ ১০ কে গ্রেপ্তার করে। এলাকায় পুলিশ ও র্যব টহল দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত অনুমানিক সাড়ে ৮ টায় ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী পূর্বপাড়া গ্রামস্থ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১০ থেকে ১৫ জন ঢাকঢোল বাজিয়ে হরিকীর্ত্তন গান গাইতে গাইতে মহশশ্মানের দিকে যাচ্ছিল। শিয়ালী পশ্চিমপাড়া দয়াপাড়া মসজিদের সামনে পৌঁছামাত্র মসজিদের ইমাম বের হয়ে তাদের হরিকীর্ত্তন গাইতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কা ধাক্কি হয়। পরে ইউনিয়ন ক্যাম্প ও রূপসা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে চাঁদপুর গ্রাম, শিয়ালী গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের কিছু লোক একত্রিত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এসময় তাদের ঘরের মালামাল লুট করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একপর্যায়ে তারা মহাশশ্মান মন্দির, পূর্বপাড়া সার্বজনীন মন্দির ও মন্দিরের ভেতরের মুর্তি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় পূজা উদযাপন পরিষদ রূপসা উপজেলা সভাপতি শক্তিপদ বসু বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামা ২শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রবিবার রাতে পুলিশী অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, শরীফুল ইসলাম, শেখ মঞ্জুরুল আলম, মোঃ শরিফুল শেখ, আকরাম ফকির, মোঃ সোহেল শেখ, জামিল বিশ্বাস, শামিম শেখ, সম্রাট মোল্লা ও মমিনুল ইসলাম। ওই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে প্রেরণ করলে আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠান।
খুলনা গেজেট/ এস আই