খুলনা রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামে মসজিদের ইমামকে লাঞ্চিত, মসজিদ ও হিন্দু ধর্মীয় মন্দিরে হামলা এবং দোকানপাট ভাংচুর, নিরীহ মুসলমানদের গ্রেপ্তার এবং হয়রানি বন্ধ করে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে নেতৃবৃন্দ খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মামুনুর রশিদ এর মাধ্যমে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা খুলনা ও রূপসা উপজেলাবাসী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে হিন্দু মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী সকলেই মিলেমিশে বসবাস করে আসছি। রূপসা শিয়ালি গ্রামের মসজিদে নামাজরত অবস্থায় বারংবার ঢোল তবলা, গানবাজনা বাজানোর কারণে ইমাম সাহেব ও মুসল্লিবৃন্দ নিষেধ করলে ইমাম সাহেবকে লাঞ্ছিত ও মসজিদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মন্দির ও দোকান ভাঙচুর করা এটা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
রুপসায় মসজিদ, মন্দিরে হামলা দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা এটা আমাদের কাছে মনে হচ্ছে একটা পরিকল্পিত ঘটনা, এই ঘটনায় একতরফা মুসলিমদের গ্রেপ্তার হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইমাম সাহেবকে লাঞ্ছিত, মসজিদে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ব্যাপারে দোষীদের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না । এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরীহ মুসলমানদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করে সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
এদিকে রূপসা উপজেলার নেতৃবৃন্দ রূপসা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ আশরাফুল আলম, রুপসা উপজেলা সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী এবং শ্রীফলতলা ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফ আলী বিশ্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ টি আই