মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের কোনো এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, জামুকা তাদের নিজস্ব বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী যে কথা বলেছে সেটাও তার এখতিয়ার বহির্ভূত। বীরউত্তম, বীরশ্রেষ্ঠ, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক-খেতাব মামা বাড়ির আবদার নয়; এটা আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি। কেউ এই খেতাব দয়ায় দেয়নি। এই খেতাব কেড়ে নেয়ার আপনারা কে?
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সেক্টর ও ফোর্সেস কমান্ডার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব প্রত্যাহারের সরকারি হঠকারী ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জু হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাবে হাত দিলে সে হাত পুড়ে যাবে। বাংলার জনগন সে হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবে।
আল-জাজিরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সরকার বিএনপি আতঙ্কে ভুগছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অবৈধ হাসিনা সরকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাবে হাত দিয়ে বিদায়ের ঘন্টা বাজিয়েছে। এখন শুধু কিভাবে বিদায় নিবেন সেটা দেখার সময় মাত্র।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, এড. এসআর ফারুক, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, শেখ আবু হোসেন বাবু, মুজিবর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার। সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/ টি আই