রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার যশোরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জনসভায় তিনি ভাষণ দেবেন। ইতোমধ্যে এই জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ঝকঝকে তকতকে করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে শহরকে। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আশা করছেন যশোরে এবারের জনসভায় ১০ লাখ মানুষ সমবেত হবেন। গোটা শহর জুড়ে মানুষ অবস্থান করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনবেন।
এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সমাবেশস্থল যশোর স্টেডিয়ামে প্রেস বিফ্রিং করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে যশোরের নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ বণিতাদের মধ্যে যে উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভোরেই স্টেডিয়াম মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি পুরো যশোর শহর সমাবেশস্থলের রূপ নেবে। যশোরাঞ্চলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে ও তার কথা শুনতে সমাবেশে আসছেন। তিনি বলেন, জঙ্গিরা এখনো তৎপর রয়েছে। আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। সবকিছু মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক কিছুই করা হয়েছে। ব্রিফিংকালে তার সাথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য স্টেডিয়ামের এ ব্রিফিংয়ে নির্দিষ্ট পাসধারী ঢাকার কয়েকটি টিভি মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এদিকে, জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ নিতে দিনরাত কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তৃণমূল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আগমন বার্তা পৌঁছে দিতে তৎপরতা চালানো হয়েছে। সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত করা হয়েছে মাইকিং। সুসজ্জিতভাবে নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে অংশ নেবেন।
জনসভার বিষয়ে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের জনসভা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ হবে। এ সমাবেশে আসতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছেন। বিএনপি জামায়াতের আগামীদিনের তাণ্ডব রুখতে এ সমাবেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ শপথ নিয়ে ঘরে ফিরবেন।
এদিকে, জনসভাকে ঘিরে পুরো যশোরকে ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলেছে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের সকল সংস্থার সদস্যরা। যশোর স্টেডিয়ামের মূল মঞ্চ ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসাথে পুরো যশোর জেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই