দিন-রাত সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খুলনাঞ্চলে তিনটি নতুন ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ করা হয়েছে। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মন্ডপগুলোতে দিবালোকের ন্যায় করতে ওজোপাডিকো এ উদ্যোগ নিয়েছে। খুলনা নগরী, ফুলতলা, বাগেরহাট ও মোংলা পূজা মন্ডপগুলোর জন্য এ ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ওজোপাডিকোর উদ্যোগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
শনিবার থেকে পূজার শুরু, বুধবার বিসর্জন। চলমান বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর পূজা কমিটি মন্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি তোলে। পূজা কমিটি যুক্তি উপস্থাপন করে গত বছর শারদীয় দূর্গোৎসবে রূপসা মহাশ্মশানঘাট কালিবাড়ীতে ১৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করার মধ্য দিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
নগর পূজা উৎযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল ব্যানার্জি জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্ডপে সিসি ক্যামেরা চালু রাখতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন। পূজা কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা তথ্য দিয়েছেন। সাহেবের কবরখানা পূজা মন্ডপ, পঞ্চবিথী পূজা মন্ডপ, কেশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ পূজা মন্দিরে ইতিমধ্যেই আলোকসজ্জ্বা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠানোর ২১ দফা নির্দেশনায় সকল প্রকার আনুষ্ঠানিক আলোকসজ্জ্বা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
ওজোপাডিকোর খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহিনা আক্তার জানান, মন্ডপগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অন্ধকারমুক্ত করতে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে তিনটি ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন প্রকার ট্রান্সফর্মার নষ্ট হলে তা সাথে সাথে পরিবর্তন করা হবে। শুধুমাত্র খুলনা মহানগরীতে বুধবার ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। সরবরাহ হয়েছে ১২৪ মেগাওয়াট। ২০ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
পূজা উৎযাপন পরিষদের সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় ৩৪টি, খুলনা নগরীর ১২৫টি, বাগেরহাট ও মোংলায় ৬৩৩টি মন্ডপে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস মতে দুর্গা দেবীর এবারে আগমন গজে, আর গমন নৌকায়।
কেএমপি সূত্র বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড় মন্ডপগুলোতে ্আটজন, মাঝারি মন্ডপে ছয়জন এবং ছোট মন্ডপে চারজন আনসার ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। র্যাবও টহল দেবে।
নগরীর প্রধান প্রধান পূজামন্ডপ রয়েছে, আর্য্য ধর্মসভা, শীতলাবাড়ী, দোলখোলা সার্ব্বজনীন, টুটপাড়া গাছতলা, প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, শিববাড়ী, পৈ-পাড়া, সরকারি বিএল কলেজ, পাবলা বণিক পাড়া ও মহেশ্বরপাশায়।