রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চলেছেন উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক তথা টলিউড-হিরো চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বারাসাতে এক জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ”আমার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মনে হয় সময় এসেছে হস্তান্তরের। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই।”
তবে এই অবসরের কথা চিরঞ্জিত উসকে দিলেও মূল সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল সুপ্রীমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু তৃণমূলের এই বিধায়কের রাজনীতি থেকে অবসরের বিষয়টি অনেকদিন থেকেই জল্পনা চলছিল যা চিরঞ্জিত অকপটেই বারাসতে ব্যক্ত করলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি একনাগাড়ে পরপর তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন বারাসত থেকে।
বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপুরে হাই-মাস্ট লাইট, সেলফি জোন, কাউন্সিলরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ-সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ‘হ্যালো কাউন্সিলর’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “১৫ বছর এখানে (বারাসতে) আছি। মানুষের সঙ্গে মিশলাম, ভালো-মন্দে রইলাম। প্রথমবার সুপারস্টার চিরঞ্জিত জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয়বার তো সেটা হবে না। মানুষ আমাকে যাচাই করেছে। আমি বুঝেছি বারাসতের মানুষ আমাকে পছন্দ করে, সম্মান করে। সে কারণেই আমাকে রাখা হয়েছে। কিন্তু অনেক বয়স হয়েছে আমার। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই। আমার মনে হয় এবার সময় এসেছে হস্তান্তরের।” বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক।
খুলনা গেজেট/এএজে