খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ফসল কাটা নিয়ে চাঁপাই নাবাবগঞ্জ চোকা-কিরণগঞ্জ সিমান্তে উত্তেজনা, ককটেল বিস্ফোরণ বেশ কয়েকজন আহত; সমাধানের চেষ্টায় বিজিবি-বিএসএফ
  বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

রহিমা বেগমকে অপহরণের প্রমাণ মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা থেকে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোন প্রমাণ পায়নি পিবিআই। তিনি একেক সময়ে একেক তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান মঙ্গলবার রাতে খুলনা গেজেটকে এমন কথা বলেছেন। তবে এ ঘটনাটি যদি মিথ্যা ও সাজানো হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচালিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান।

পিবিআই মুখপাত্র বলেন, রহিমা বেগম জানিয়েছিলেন ২৭ আগস্ট রাতে অপহরণ হওয়ার পর হুশ ফিরে সাইনবোর্ড পড়ে দেখেন তিনি পার্বত্য চট্রগ্রামে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি বান্দরবন এলাকার মনি বেগমের ভাতের হোটেলে চাকরী করেছেন। হোটেল মালিক তাকে স্থানীয় একটি ক্যাম্পে চাকরী দেওয়ার কথা বলেন। চাকরীর জন্য তার জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন।

জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি কার্ডের জন্য তিনি সরাসরি চলে আসেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে তার পূর্ব পরিচিত কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে। সেখানে অবস্থান করে ১৬ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হকের কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, আমার জন্ম হয়েছে ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। কর্মের তাগিদে তিনি বাগেরহাটে থাকেন। সেখানে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। এতে তার সন্দেহ হলে তাকে জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি প্রাপ্তির সুযোগ থেকে তিনি বঞ্চিত হন।

পিবিআই প্রধান আরও বলেন, তিনি সব স্থানে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন। আদালতেও তিনি ভুল ব্যখ্যা করেছেন। তিনি আমাদের ও আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্ত চলছে। অপহরণে এ ঘটনা মিথ্যা হলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট রাতে রহিমা বেগম বাড়ির ভেতর টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে তাকে জীবীত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তিনি প্রশাসনের কাছে কোন তথ্য দেয়নি। পরে সকাল ১১ টার দিকে তাকে পিবিআই কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে মেয়েদের উপস্থিতিতে মুখ কথা বলেন। দুুপুর ৩ টার দিকে পুলিশ তাকে আদালতে নেয়। সেখানে তিনি জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে মেয়ে আদুরী বেগমের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় আদালত।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!