বেশ কিছুদিন ধরে ভোজ্য তেল, ছোলা, চিড়া, চিনি, ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার উর্ধমুখী। পেঁয়াজের দর এক লাফে বেড়েছে ১৬/১৭ টাকা। আমদানিকৃত চালসহ পর্যাপ্ত আমন বাজরে এলেও চালের দাম কয়েক মাস ধরেই চড়া। এমন পরিস্থিতিতে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। আর এই রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়িরা কৌশলে দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রমজান নির্ভর পণ্যগুলোর দাম তারা আগেই বাড়াতে শুরু করেছে। ফলে একদিকে দীর্ঘ সময় ভোক্তার পকেট কেটে অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নিচ্ছে, অন্যদিকে রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিযোগ থেকে মুক্ত থাকছে।
খুলনার বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে অতি প্রয়োজনীয় পণ্যেগুলোর দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। মঙ্গলবার প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬০/৬২ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয় ৫৬/৫৮ টাকা। প্রতিকেজি মশুরের ডাল বিক্রি হয়েছে ৭৫/৮০ টাকা, একই মানেরটি এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬৭/৭০ টাকা। চিড়া বিক্রি হয়েছে ৬০/৬২ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৫০/৫২ টাকা। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকা, যা আগে সাধারণত ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হত। কোম্পানিভেদে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৬ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা। মানভেদে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬৫ টাকা।
চাল, ভোজ্য তেলসহ চড়া দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে সংসার চালাতে চরম হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ ভোক্তারা।
রূপসা বাজারের ক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, এখন আর রোজায় দাম বাড়ানো হয় না। আগে থেকেই দাম বাড়তে থাকে। তিনি বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরেক ক্রেতা ময়না আক্তার বলেন, বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা তাতে ক্ষুদ্র আয়ে তিন বেলা দু’মুঠো খাওয়াই দুস্কর। একই কথা বলেন, বাজার করতে আসা আরও অনেকেই।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র খুলনা অফিসের উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল মোর্শেদ খুলনা গেজেটকে বলেন, নগরীর ৭টি পয়েন্টে নিয়মিত টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। পেঁয়াজ ১৫ টাকা, চিনি ৫০ টাকা, মশুরের ডাল ৫৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৯০ টাকায় ভোক্তাদের দেয়া হচ্ছে। তবে রমজান উপলক্ষে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কোন নির্দেশনা এখনও আসেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম