বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি কমরেড রতন সেন হত্যার বদলা নিতে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক খুলনা নগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাইল হোসেন খুন হন! কাশেম হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ তারিক হোসেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এ তথ্য প্রকাশ করেন। জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল সোমবার শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলা রায়ে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের জজ মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো রায়ে উল্লেখ করেন, আসামি মোঃ তারিক হোসেন ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে বলেছে, জাপা নেতা শেখ আবুল কাশেমকে রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। আসামী তারেক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শেখ আবুল কাশেমকে হত্যা করা হয়। সিপিবির খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড রতন সেন হত্যার বদলা নিতে জাপা নেতা শেখ কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাইল খুন হয় বলে আসামী স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব ফটিকছড়ি গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের পুত্র। সে বর্তমানে পলাতক।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই ঘাতকরা কমরেড রতন সেনকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। তার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ২২ বছর কেটেছে জেল ও আত্মগোপনে। জীবনের মূল্যবান সময় যৌবনের ১৭টি বছর কেটেছে পাকিস্তানের কারাগারে। বরিশালের উজিরপুরে ১৯২৩ সালের ৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন প্রয়াত এই চিরকুমার। রূপসা উপজেলার পালেরহাট গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই