চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারী (২৮) কে তিনজনে মিলে গণধর্ষণের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আজ ১৪ ফ্রেবুুয়ারি আটক করেছে র্যাব-৬ খুলনা এর একটি দল। অন্য আসামীরা হলেন, কানাই লাল কুন্ডু, আনোয়ার এবং রিয়াজুল কাজী। তাদের এখনো গেফতার করা সম্ভব হয়নি।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার ফুলতলা থানার তরতীবপুর গ্রাম থেকে ১ নং আসামী মানিক লাল কুন্ডু, পিতা-রসোময় কুন্ডু, গ্রাম-তরতীবপুর, ফুলতলা, খুলনাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগি এতিম। মানুষের বাড়িতে তিনি বেড়ে উঠেছেন। খুলনার ফুলতলা উপজেলার পত্তিপুর গ্রামের মানিক কুণ্ডুর সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। মানিক কুণ্ডু তাকে একটি চাকরি পাইয়ে দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ২০ হাজার টাকাও নেন। বিগত দুইমাস ধরে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করছিলেন। সর্বশেষ শুক্রবার ছুটির দিন নিয়োগ কর্তার বাড়ি যশোরে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন মানিক। সেই মোতাবেক শুক্রবার বিকেলে মানিক কুণ্ডু তাকে নিয়ে যশোরে আসেন। যশোর পৌঁছানোর পর আরও দুইজনকে সঙ্গে নেন মানিক। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইজিবাইকে করে হাশিমপুর যাবার উদ্দেশে নিয়ে যায় তারা। পথে রাস্তায় নেমে মাঠের ভিতর দিয়ে যেতে হবে বলে জানান। কিছুদূর যাওয়ার পর তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকলে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় উল্লিখিত তিন আসামীর বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম