যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারী (২৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরির প্রলোভন দিয়ে ডেকে এনে তাকে তিনজনে মিলে ধর্ষণ করেছে বলে ওই ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতিত নারী জানান, তিনি এতিম। মানুষের বাড়িতে তিনি বেড়ে উঠেছেন। খুলনার ফুলতলা উপজেলার পত্তিপুর গ্রামের মানিক কুণ্ডুর সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। মানিক কুণ্ডু তাকে একটি চাকরি পাইয়ে দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ২০ হাজার টাকাও নেন। বিগত দুইমাস ধরে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করছিলেন। সর্বশেষ শুক্রবার ছুটির দিন নিয়োগ কর্তার বাড়ি যশোরে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন মানিক। সেই মোতাবেক শুক্রবার বিকেলে মানিক কুণ্ডু তাকে নিয়ে যশোরে আসেন। যশোর পৌঁছানোর পর আরও দুইজনকে সঙ্গে নেন মানিক। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইজিবাইকে করে হাশিমপুর যাবার উদ্দেশে নিয়ে যায় তারা। পথে রাস্তায় নেমে মাঠের ভিতর দিয়ে যেতে হবে বলে জানান। কিছুদূর যাওয়ার পর তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকলে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আজিজুল হাকিম বলেন, ভর্তি হওয়া নারীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওই নারীর অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম