খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  কক্সবাজার সদর উপজেলায় খাল থেকে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার
  রাজধানীর বাসাবোতে ১১ তলা থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ১
  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পরিবারের ৬ সদস্যের দাফন সম্পন্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বাংলাদেশি পরিবারের ছয় সদস্যের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে টেক্সাসের অ্যালেনে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার দোয়া ও প্রার্থনা শেষে তাঁদের দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত তৌহিদুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আইরিন ইসলাম, মেয়ে ফারবিন তৌহিদ ও আইরিনের ইসলামের মা আলতাফুন্নেছাকে একই স্থানে এবং দুই ছেলে তানভীর তৌহিদ ও ফারহান তৌহিদকে অন্য স্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে আজ শুক্রবার পাবনার দোহারপাড়া ও আরিফপুর কবরস্থানে নিহতদের স্মরণে ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সপরিবারে বসবাস করছিলেন সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তৌহিদুল ইসলাম। স্ত্রী আইরিন ইসলাম নীলা তৌহিদ, তিন সন্তান তানভীর, ফারবিন ও ফারহানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি। তৌহিদের শাশুড়ি আইরিনের বৃদ্ধা মা আলতাফুন্নেছাও তাঁদের সঙ্গে টেক্সাসে ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে পাবনায় থাকা ছেলেদের সঙ্গে আলতাফুন্নেছার মোবাইলে কথা হয়। পয়লা এপ্রিল পাবনায় ফেরার কথা ছিল আলতাফুন্নেছার। করোনার কারণে সেই ফ্লাইট বাতিল হয়ে ৭ এপ্রিল দেশে আসার দিন ঠিক হয়। কিন্তু এর মধ্যেই ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিহত হতে হয় তাঁকেও।

পুলিশের ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে গত শনিবার কোনো এক সময়ে বাবা তৌহিদুল ইসলাম, মা আইরিন ইসলাম, বোন ফারবিন তৌহিদ ও নানি আলতাফুন্নেসাকে গুলি করে হত্যার পর দুই ছেলে ফারদিন ও তানভীর আত্মহননের পথ বেছে নেন। যদিও মরদেহগুলো সোমবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, হত্যাকাণ্ডের আগেই দুই ছেলে পরিকল্পনা করেন এবং বড় ছেলে তানভীর একটি আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিলেন।

এদিকে, টেক্সাসের অ্যালেন নগরীর পাইন ব্লাফ ড্রাইভ এলাকার ওই বাড়ির প্রতিবেশীরা এই মৃত্যু মানতেই পারছেন না। নিহত পরিবারের ঘনিষ্ঠজন তানিয়া হোসেন বলেন, ‘আমাদের খুব প্রিয় ছিল তারা। এমন মৃত্যু একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এখনো ভাবতে কষ্ট হয় তারা মারা গেছে।’

ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যালেনের ইমাম আবদুর রহমান বশির বলেছেন, ‘পরিবারটির স্মৃতি অন্তরে ধারণ করতে হবে আমাদের। আমাদের পরিবারের সদস্য, সন্তানসহ পরিচিত যে কেউই যখন সাহায্য চাইবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব আমাদের অনুধাবন করতে হবে।’

ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যালেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের নিকটজন ও বন্ধু-বান্ধবেরা নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালনেরও আয়োজন করেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!