খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  আবারও ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি
  রাজধানীর বাসাবোতে ১১ তলা থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
  কক্সবাজার সদর উপজেলায় খাল থেকে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫

যা কখনো প্রকাশ করবেন না

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

পরিবারের বাইরে সমাজ, বন্ধুমহল কিংবা অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয় আমাদের। এর মধ্যে কারও কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা একটু বেশি হওয়ায় অনেক সময় পারিবারিক ও একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়েও কথা হয়। এই আলোচনা কিংবা কথার মাঝেই অনেক বড় ভুল হয় আমাদের। কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার করতে হয় না। এতে পরবর্তীতে আঘাতমূলক যেমন ব্যবহার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনই নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে থাকে।

বাস্তব জীবন খুব কঠিন। এ জন্য কিছু বিষয় কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার করতে নেই। আত্মোন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট মেক মি বেটার এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রয়েছে। সেখান থেকে কয়েকটি বিষয়ে জেনে নেয়া যাক তাহলে, যা কখনো প্রকাশ করতে হয় না।

স্বপ্ন ও লক্ষ্য : প্রতিটি মানুষেরই ভালো কিছু করার স্বপ্ন ও লক্ষ্য থাকে। হতে পারে তা কোনো প্রকল্প বা বিশেষ কিছু করতে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীক ধারণা, কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, বিনিয়োগের সুযোগসহ আরও অনেক কিছু করার স্বপ্ন বা লক্ষ্য থাকতে পারে আপনার। এসব অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত।

এসব ব্যাপারে পরিকল্পনা শুধু পরিবারের সদস্য এবং সঙ্গীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হয়। এর কারণও সহজ। কারণ, আপনার পরিবার ও সঙ্গী আপনার মঙ্গল কামনা করবে, তারা আপনাকে সমর্থন করবে এবং সাফল্যের অপেক্ষায় থাকবে। কিন্তু বাইরের মানুষ আপনাকে হিংসা করতে পারে। তারা হয়তো বিষয়টি মুখে প্রকাশ করবে না। এতে আপনার স্বপ্ন ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন নাও হতে পারে।

আয় : আপনি দৈনিক, মাসিক কিংবা বার্ষিক যে পরিমাণ আয় বা অর্থ উপার্জন করেন তা আপনার ও আপনার পরিবারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে এটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। এই তথ্য অন্যের কাছে থাকলে আপনার ব্যক্তিগত এবং আপনার পরিবার সম্পর্কে সহজেই অনুমান করা যায়। আর আপনার আশপাশে থাকা সব মানুষ যে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী—এমনটাও ভাবতে পারেন না। অর্থের কারণেই বাইরের কেউ আপনার ও পরিবারের পিছু লাগতে পারে। তাই কেউ যদি আপনার আয় নিয়ে প্রশ্ন করে তাহলে অবশ্যই বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন বা মজার ছলে অস্পষ্ট উত্তর দেবেন।

সম্পর্কের সমস্যা : প্রতিটি মানুষের জীবনে কাছের কিছু মানুষ থাকে। হতে পারে তা জীবনসঙ্গী, বন্ধু বা পরিবার। এই বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের গভীরতা বিভিন্ন রকম হতে পারে। সময়ের ব্যবধানে তাদের সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। আর সমস্যাটি যদি প্রেমিক, প্রেমিকা বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে হয়, তাহলে এটি একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

ব্যক্তিগত বিষয় কখনো বাইরের কারও সঙ্গে শেয়ার করত যাবেন না। ব্যক্তিগত সমস্যা ভাগ করে নেয়ার পর অধিকাংশ সময় সমাধান তো হয়ই না, বরং কখনো কখনো তৃতীয় পক্ষের আগমনে সম্পর্কের অবনতি হয়। সম্পর্কের ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং গভীরতা হারাতে থাকে। এ ক্ষেত্রে বরাবরই সাবধান থাকতে হবে আপনাকে।

দাতব্য কাজ : প্রতিটি মানুষেরই অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য-সহযোগিতা করা উচিত। সবাই যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে তা অবশ্যই ভালো ও শান্তিপূর্ণ হবে। কিন্তু আপনি যদি কখনো কোনো দাতব্য কাজ করেন তাহলে তা নীরবে এবং গোপনে করা উচিত। এ ব্যাপারে মানুষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত নয়।

কারণ আপনি মন থেকে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্তু আপনি সবার সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করলে কিছু মানুষ আছে তারা ভাববে আপনি অহংকার করছেন, লোক দেখানো কাজ করছেন।

তিক্ত বা গোপন অতীত : মানুষ ভুলের বাইরে নয়। সব মানুষেরই কম-বেশি ভুল হয়। হতে পারে তা কখনো ছোট ভুল, কখনো বড় ভুল। এ নিয়ে অনেক সময় আমরা লজ্জা বোধ করি। কিছু ভুল পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পেরে অনুশোচনা করি। তবে ভুলগুলো এই অনুশোচনা ও নিজের মধ্যে রাখাই শ্রেয়। এসব অতীত প্রিয়জন ব্যতীত অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করার কোনো প্রয়োজন নেই।

আপনি যখন এসব অতীত অন্যদের জানাবেন, তারা পুরো বিষয় না জেনে, না বুঝে বিচার করতে শুরু করবে আপনাকে। অধিকাংশ মানুষ অন্যের ভুলের ক্ষেত্রে ভুলে যায় যে, নিজ অজান্তে মানুষ ভুল করে থাকে। আর ভুল করার পর তা বুঝে উঠি আমরা। তাই সাবধান।

রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস : বর্তমানে আমরা এমন এক যুগে বসবাস করছি যেখানে মানুষের মতামতের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকে। শক্তিশালী মতামতগুলো প্রায় সময়ই অপ্রয়োজনীয় বিরোধের উৎস হয়ে উঠার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে। দুটি বিষয় ব্যক্তিজীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলে। এসব ব্যাপারে মানুষের সঙ্গে কথা বললে দ্বন্দ্ব, মারামারি বা সংঘাতের সৃষ্টি হয়। আবার কর্মক্ষেত্রে হলে কখনো কখনো ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই নিজের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস শুধু নিজের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন।

খুলনা গেজেট/ এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!