টানা ৫৯ দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর চালু করার সরকারি নির্দেশ হলেও ইয়াসের ঝুঁকি এড়াতে মালিক পক্ষ টার্মিনালে নৌযান বেঁধে রেখেছে। যাত্রীরা সকাল থেকে টার্মিনালে ভীড় করলেও কোন নৌযান গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছাড়েনি। দিনভর খুলনা টার্মিনালে বাঁধা ছিল দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের একাধিক নৌযান। অলস সময় কাটায় এ সব নৌযানের শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৪ এপ্রিল থেকে সরকার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ সময় দক্ষিণাঞ্চলে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বহন করতে লঞ্চ মালিকদের কষ্ট হয়। তারা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করে। তাদের দাবি পরিপেক্ষিতে সোমবার থেকে সরকার এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ইয়াসের দুর্ঘটনা এড়াতে খুলনা-মদিনাবাদ, খুলনা-নীলডুমুর, খুলনা-কুড়িকাহুনিয়া রুটে এমএল ফারিয়া সাদিয়া, এমএল আল মদিনা-১, এমএল ওয়াটার কিং ৮, এমএল মুহুয়ীনাফি ও এমএল মোহামাদী নামক লঞ্চ টার্মিনালে বাঁধা ছিল।
আইডাব্লিওটিএ, খুলনা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দুুই নম্বর সর্তক সংকেত দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রাত থেকে এ সংকেত বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে মালিক পক্ষ তাদের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে।
এমএল ফারিয়া সাদিয়া লঞ্চের কর্মচারী আলমগীর চৌধুরী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যাত্রীদের জীবনকে গুরুত্ব দিয়ে সাধারণত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে, ইয়াস সৃষ্টি হওয়ার পর তার ব্যতিক্রম হয়নি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি