যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দেশের প্রথমসারির সম্মুখযোদ্ধা নার্সরা। গত এক মাসে হাসপাতালের ৩৯ জন নার্স এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ১৫ জন সুস্থ হয়ে কাজে যোগদান করেছেন। বাকি ২৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খুলনা বিভাগ জুড়ে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা যশোর এ পরিস্থিতির বাইরে নয়। মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ যশোরে প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৭ জন মারা যাচ্ছেন। এরই সাথে জেলার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত নার্সরা করোনায় একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গেল একমাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ জন। গত ১ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত এ আক্রান্তের তথ্য দিয়েছেন হাসপাতালের উপ-সেবা তত্ত¡াবধায়ক ফেরদৌসি বেগম।
তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত নার্স রয়েছেন ২৩২ জন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ২৭৮টি। করোনা সংক্রমক ওয়ার্ড রেডজোন, ইয়েলো জোন, জরুরি বিভাগে এসব নার্সদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আক্রান্ত বেশিরভাগ নার্স বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত ৩৯ জন নার্সের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন ১৫ জন। বাকি ২৪ জন এখনও বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জুলাই থেকে হাসপাতালের চারতলায় ৪০ বেড বিশিষ্ট নতুন ওয়ার্ড চালু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম থাকলেও মহামারির মধ্যেও তারা অবিরাম কাজ করে চলেছেন। নতুন করে ডেপুটেশনে নার্স বাড়ালে একদিকে সেবার মান বাড়বে, অপরদিকে নার্সদের পরিশ্রমও কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের চতুর্থতলায় ৪০ বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি বেডে রোগী রয়েছে। এখন বেড ছাড়া বাইরে কোনও রোগী নেই।
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, রোগীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেবার মান বাড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগে ডেপুটেশনে কিছু নার্স চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই