খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে এবার কিশোরের আত্মহত্যা

গে‌জেট ডেস্ক

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে জহুরুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জহুরুল পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার বামনডাঙ্গা গ্রামের জিলান মন্ডলের ছেলে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাবনার আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আসে।

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রের নিবাসী শিশুরা আবাসিক ভবনের একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় জহুরুলকে ঝুলতে দেখে। এ সময় কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অসীত সাহা বলেন, বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে শিশুরা। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল আজ। খেলা উপভোগ করতে সব শিশু মাঠেই ছিল। এই ফাঁকে জহুরুল নামে এক নিবাসী নিজের শোয়ার কক্ষে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

তিনি জানান, সে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আদালতের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে আসে। ওই শিশুর পরিবারের স্বজনদের কাছে আত্মহত্যার খবর পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই শিশু আত্মহত্যা করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ওই কেন্দ্রে তিন শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকজন শিশু আত্মহত্যা করেছে। যে কারণে এই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন করে গুচ্ছ গুচ্ছ সুপারিশ দেওয়া হলেও ব্যবস্থাপনার কোনো উন্নতি হয়নি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!