আগামী ১৭ অক্টোবর যশোর জিলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করছে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগকে আগ্রহী প্রার্থীদের এ তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
জিলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জেলা নির্বাচন কার্যালয় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী এক হাজার ৩১৯ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের ভোটে একজন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ৮ জন সাধারণ সদস্য ও তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এদিকে, ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দলের মনোনয়নপত্র বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ। এ খবরে যশোর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা তোড়জোড় শুরু করেছেন। কেউ কেউ ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
সূত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, সহসভাপতি আবদুল খালেক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। দলের মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে লবিং শুরু করেছেন।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, যশোর জিলা পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ডগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সীমানা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৮টি ওয়ার্ড সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন। সর্বশেষ নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ৫ জন। নতুন নির্দেশনা অনুয়ায়ী সদস্যদের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে।
নতুন সীমানায় শার্শাকে এক নম্বর ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরে ঝিকরগাছা, চৌগাছা, অভয়নগর, বাঘাপাড়া, সদর, মণিরামপুর ও কেশবপুর।
শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছা নিয়ে এক নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড। দুই নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে অভয়নগর, বাঘারপাড়া ও যশোর সদর। মণিরামপুর ও কেশবপুর হচ্ছে তিন নম্বর ওয়ার্ডে।
খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী এক হাজার ৩১৯ জন জনপ্রতিনিধি এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ এক হাজার সাতজন ও নারী ভোটার ৩১২ জন। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৭ নং ওয়ার্ডে অর্থাৎ মণিরামপুর উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২৩৭। এরমধ্যে ১৮১ জন পুরুষ ও ৫৬ জন নারী। এরপরই রয়েছে ৬ নং ওয়ার্ড (সদর উপজেলা)।
এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২১০ জন। ১৫০ পুরুষ ভোটার ও ৬০ জন নারী। সর্বনিম্ন ১১৯ জন ভোটার অভয়নগরে। এ উপজেলায় পুরুষ ভোটার ৯১ জন ও নারী ভোটার ২৮ জন। এছাড়া ঝিকরগাছা, কেশবপুর ও চৌগাছায় ১৫৯ জন করে, শার্শায় ১৪৪ জন এবং বাঘারপাড়ায় রয়েছে ১৩৩ জন ভোটার।
যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, সংশোধিত সীমানায় আগামী ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এর আগে আগ্রহী প্রার্থীরা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর।